Wednesday, July 29, 2020

কাচঁকাটা

লেখকঃ চৌধুরী কামরুল হাসান সৌরভ 

সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নীল আকাশ ছুয়ে শুভ্র জোৎস্না মাটির বুকে গলে গলে পড়ছে। জোৎস্না আর বৃষ্টি দুটো জিনিসই আমার খুব প্রিয়। তবে অতি প্রিয় হচ্ছে নীল। হতে পারে নীল রঙ, নীল জোনাকি আবার কোন এক তরুণীর গায়ে জড়ানো নীল শাড়িও হতে পারে।
সেদিন শেষ বিকেলে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। আমি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ; আমার সারা শরীর বৃষ্টি জলে ভিজে যাচ্ছে তবুও দাঁড়িয়ে আছি। পৃথিবী জুড়ে প্রার্থনার ডাক পড়ছে আধো আলো- আধো ছায়ায় প্রকৃতি একাকার। মাঝে মাঝে সব আলোকিত হয়ে উঠে বিজলী চমকানো আলোয়।
হঠাৎ একটি ছায়া এসে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়ালো। ছায়ার আকৃতি দেখে আমার একটুও বুঝতে অসুবিধে হলো না তুমি - অতুন্দ্রীলা। আজকাল মাঝে মধ্যেই তুমি এসে হাজির হও! তোমার ছায়াটা এলেই আমার হার্টবিট বেড়ে যায়। ধরে নিতে পারো সেকেন্ডে ৩বার কিংবা তার-ও বেশি হয়ে যায়। এলোমেলো হয়ে যায় সব। আমি গুলিয়ে ফেলি নিজেকে।
সবথেকে মজার ব্যাপার হলো তুমি বেশি আসো বৃষ্টিস্নাৎ সন্ধ্যায় কিংবা জোৎস্না গলা কোন মধ্যরাতে। জানিনা বৃষ্টি আর জোৎস্নার সাথে তোমার কি সম্পর্ক?
অতুন্দ্রীলা তবে কি তুমিও আমার মত বৃষ্টি আর জোৎস্না ভালোবাসো?
আমি বেলকনির গ্রিল ধরে বৃষ্টি বিলাসে মগ্ন।

অতুন্দ্রীলা - কি হলো কিছু বলবে না?

আমি      - কবিতা শুনবে?

              - বলো শুনি!!

 না হোক দেখা তোমার সাথে, 
এ নিষ্ঠুর পৃথিবীর মাঝে; 
 মনের আয়নায় খুঁজবো আমি
 বৃষ্টিভেজা পাতা থেকে; 
পড়া একফোঁটা জলের মাঝে।
না হোক কথা তোমার সাথে, 
ঐ গন্ধভাসা ফুলের বাগানে; 
বলবো কথা তোমার সাথে 
মেঘে ডাকা আকাশে; 
লুকিয়ে বজ্রপাতের শব্দ হয়ে। 
না হোক ভালোবাসা কোনোদিন তোমার সাথে। 

 - তোমার লেখা?

 - না, রেদোয়ান মাসুদের।  তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে কবিতাটা আমারই লিখার কথা ছিলো। কিন্তু লেখার সৌভাগ্যটা আমার হওয়ার আগেই রেদোয়ান মাসুদের হয়ে গেল।একটা কথা কি জানো অতুন্দ্রীলা? 
 কিছু সৌভাগ্য প্রকৃতি কখনো আমাদেরকে দেয় না। তা শুরু থেকেই অন্যকারো হয়ে থাকে। 

- আচ্ছা আমি যায়। 

-আরো কিছুক্ষণ কি থাকা যায় না? 

- আমি তোমার মত পাখি হওয়ার স্বপ্ন দেখি না কিংবা শীতের কুয়াশা। আমি বাস্তবতা ভালোবাসি। আর বাস্তবতা এটাই যে আমি একটা সমাজ এবং একটা পরিবারের সন্তান। এবং আমাকে সবার সাথে তালমিলিয়ে চলতে হবে।

- পারবে সুখ খুঁজে নিতে? 

(অতুন্দ্রীলা জবাব না দিয়ে চলে গেলো)
আমি চারপাশে খুঁজতে লাগলাম। এককথায় উম্মাদের ন্যায় খুঁজলাম। হাতের নিকোটিন টা জ্বলতে জ্বলতে আঙুলে ছেক লাগতেই আমার ঘোর কেটে গেলো। 

(সংক্ষেপিত)

No comments:

Post a Comment

পারবে তে?

 লেখাঃ রাহী যে মেয়েটার ঝরঝরে খোলা চুলে শাড়ি পড়া ছবি দেখে মুগ্ধ হও,প্রেমে পড়ো সেই মেয়েটা সারাদিন বাসায় ঢিলাঢালা টি-শার্টে আর কোনোরকমে চুলগুলো...