তোমাকে বহুবার ধরতে চেয়েছি তবে পারিনি। তোমাকে ছুঁয়ে দেখাটা যে বারণ।
তুমি রংধনু। কখন আসবে কিংবা কখন চলে যাবে তা তুমি ছাড়া কেউই জানে না। তোমাকে দূর থেকে উপভোগ করে ছুঁয়ে দেখার আনন্দ নিতে হয়। তবে ছোঁয়া বারণ।
তুমি মরিচীকা। যাকে দেখা যায় ছোঁয়া যায় না।তোমাকে ছোঁয়া বারণ।
তোমাকে ছোঁয়া বারণ, কারণ তুমি সাগর তীরে বেড়ে উঠা চোরাবালির দল। প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দরতম স্থান তবে? ছোঁয়া বারণ।
অতুন্দ্রীলা!!
তোমাকে ছোঁয়া বারণ জেনেও তোমার আকাশে শঙ্খচিল হয়ে উড়তে চাওয়াটা-ই আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। একগুচ্ছ কদম ফুল হাতে তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে চাওয়াটাও এখন অভ্যাসের বস্তু।
অতুন্দ্রীলা..
আমার কাছে যদি কোনো আলাদীনের দৈত্য এসে আমার তিনটা চাওয়া পূরণ করতে চাই!! আমি কোনো কিছু না ভেবেই প্রথম চাওয়াটা হিসেবে তোমাকে নিয়ে সমুদ্রের তীরে দাড়িয়ে একটা সূর্যাস্ত দেখতে চাইবো। সাথে থাকবে একটা আঙুলে আঙুল রাখার গল্প।
অতুন্দ্রীলা জানো..?
আমার বাড়ির পাশে ছোট্ট একটা দিঘি আছে। দিঘির পানি যে এতটা স্বচ্ছ হতে পারে না দেখলে বুঝতে পারবে না হয়তো। কোনো এক তাঁরা ভরা সন্ধ্যায় আধো আলোয় তোমাকে নিয়ে সেই দিঘিতে ভিজতে ইচ্ছে করে খুব।
তবে জানো অতুন্দ্রীলা? দিনশেষে তুমি কল্পনাতেই সুন্দর। সব প্রিয়দের গল্প স্বার্থকতার ডায়েরিতে লিখা হয় না। কিছু প্রিয়রা লোক চক্ষুর অন্তরালে বুকের বাঁ পাশের ডায়েরিতে উপন্যাস হয়ে থাকে। তুমিও তা-ই হলে। তবুও অবরুদ্ধ থাকুক তোমাকে ঘিরে আমার যত ছেলেমানুষী। তবুও অবরুদ্ধ থাকুক তোমাকে ঘিরে আমার যত অনুভূতি। কারণ আমি আবেগ দিয়ে নয়, আমার আত্মার সম্পূর্ণ অস্তিত্ব দিয়ে তোমাকে ভালোবাসি। আমি চাই তুমি সুখে থাকো। মধ্যবিত্তের সহজ সুখ নয়। অসাধারণ সুখ। খুব অল্প মানুষই যে সুখের সন্ধান পায়।
আর জীবনানন্দ দাসের বনলতা সেন কিংবা হুমায়ুন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি রুপা হয়েই থেকো আমার জীবনে।
ইতি
তোমাকে ছুঁতে চাওয়া সৃষ্টিকর্তার খুব সাধারণ সৃষ্টি।
No comments:
Post a Comment